Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

***সম্মানিত গ্রাহক সদস্যবৃন্দ, আসসালামু আলাইকুম, জাতীয় পর্যায়ে গ্যাস স্বল্পতার কারনে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, ফলে সারাদেশে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কম থাকায় লোডশেডিং হচ্ছে। চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর বিতরন ব্যবস্থার শতভাগ সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় লোড শেডিং দিতে হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। সকলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য***


চেয়ারম্যান এর বাণী

বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম।

স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭২ সালে রচিত মহান সংবিধানের ১৬ নং অনুচ্ছেদে “নগর ও গ্রামাঞ্চলের জীবনযাত্রার মানের বৈষম্য ক্রমাগতভাবে দূর করার উদ্দেশ্যে কৃষি বিপ্লবের বিকাশ, গ্রামাঞ্চলে বৈদ্যুতিকরণের ব্যবস্থা, কুটির শিল্প ও অন্যান্য শিল্পের বিকাশ এবং শিক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলের আমূল রূপান্তর সাধনের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন” মর্মে অঙ্গীকার করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু পল্লী অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহে গুরুত্বারোপ করে বলেছিলেন, “বিদ্যুৎ ছাড়া কোন কাজ হয় না, কিন্তু দেশের জনসংখ্যার শতকরা ১৫ ভাগ লোক যে শহরের অধিবাসী সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা থাকিলেও শতকরা ৮৫ জনের বাসস্থান গ্রামে বিদ্যুৎ নাই। গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করিতে হইবে। ইহার ফলে গ্রাম বাংলার সর্বক্ষেত্রে উন্নতি হইবে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ চালু করিতে পারিলে কয়েক বছরের মধ্যে আর বিদেশ হইতে খাদ্য আমদানী করিতে হইবে না। (দৈনিক ইত্তেফাক, ১১/০৭/১৯৭৫)।” জাতির পিতার সুদূরপ্রসারী এ চিন্তা ভাবনার ধারাবাহিকতায় পল্লীর জনগণের দোরগোড়ায় বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠা করা হয়।

 

বর্তমানের বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আওতায় ৮০ টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সমগ্র বাংলাদেশে গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুতায়নের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আওতাধীন পবিসসমূহের বিদ্যুৎ চাহিদা প্রায় ৬৫০০ মেঃওঃ; যা দেশে উৎপাদিত বিদ্যুতের প্রায় ৬৫ শতাংশ। মাসিক বিদ্যুৎ বিক্রয়ের পরিমাণ ১৫০০ কোটি টাকা। ১৯৭৮-২০০৮ খ্রি: পর্যন্ত নির্মিত বিদ্যুতায়িত লাইন ২ লক্ষ ১৭ হাজার কিঃমিঃ হতে ডিসেম্বর-২০১৮ খ্রি: তে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ২৬ হাজার কিঃমিঃ অর্থাৎ বর্তমান সরকারের বিগত ১০ বছরে ২ লক্ষ ৯ হাজার কিঃমিঃ নতুন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে এবং এই মেয়াদে গ্রাহক সংখ্যা ৭৪ লক্ষ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ২ কোটি ৫০ লক্ষ এ উন্নীত হয়েছে অর্থাৎ বিগত ১০ বছরে বিভিন্ন শ্রেণীর ১ কোটি ৭৬ লক্ষ নতুন গ্রাহককে সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। কেবলমাত্র ডিসেম্বর-২০১৮ মাসে ৩ লক্ষ ৫১ হাজার ৪৩০ জন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। একই সময়ে ৩৯১ টি নতুন ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্র নির্মাণ করে উপকেন্দ্রের সংখ্যা ৮৮৮ তে উন্নীতকরণসহ উপকেন্দ্রের মোট ক্ষমতা ৪,৬৫০ এমভিএ হতে ৫,৮৮৫ এমভিএ বৃদ্ধি করে ১০,৫৩৫ এমভিএ তে উন্নীত করা হয়েছে। এ সকল অবকাঠামোর মাধ্যমে ডিসেম্বর-২০১৮ পর্যন্ত মোট প্রায় ২ কোটি ৫০ লক্ষ বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার ৯৭৪ টি শিল্প সংযোগ ও ৩ লক্ষ ৪০ হাজার ৭৮ টি সেচ সংযোগ রয়েছে। এই সময়ে সিস্টেম লস ১৫.৬৫% থেকে ৬.১৬% হ্রাস পেয়ে ৯.৪৯% এ দাড়িয়েছে।

 

পল্লী বিদ্যুতায়ন কাযক্রমের ইতিবাচক প্রভাব দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সরাসরি ভূমিকা রাখছে। ফলে দেশের পল্লী অঞ্চলে শিল্পায়নের বিকাশ ঘটায় বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, আর্থিক কর্মকান্ডে নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি, দেশের শিক্ষার হার ও সুযোগ বৃদ্ধিসহ গ্রাম বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রযুক্তির প্রসার ঘটেছে। এছাড়া কৃষি বিপ্লবের কারণে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। অধিক ফসল উৎপাদন ও বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে গ্রামীন দারিদ্র্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। বিদ্যুৎ সুবিধার কারণে দেশের স্বাস্থ্য সেবা ও সচেতনতার ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। ফলে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধিসহ শিশু মৃত্যুর হার ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। সার্বিকভাবে দেশের জিডিপির অগ্রগতিতে প্রভাব রাখছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন কর্মসূচী।

 

ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যক্রমের আওতায় পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমে অনলাইনে বিদ্যুৎ সংযোগ আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। গ্রাহকদের সুবিধার্থে টেলিটকের ৩২,৫২৯ টি সংগ্রহ পয়েন্ট থেকে এসএমএস (SMS), Union Digital Center (UDC) এবং অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল আদায়ের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। ফলে গ্রাহকগণ সুবিধামত স্থান থেকে সুবিধামত সময়ে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়া স্বচ্ছতার স্বার্থে পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের ক্রয় প্রক্রিয়া e-GP এর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে এবং প্রায় ৫,২০০ টি ক্রয়কার্য e-GP পদ্ধাতিতে সম্পন্ন করা হয়েছে। এভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কালজয়ী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে এ প্রতিষ্ঠান একাত্ম হয়ে কাজ করছে।

 

ইজিবাইক ও ব্যাটারি চালিত রিক্সার ব্যাটারি চার্জিং এর জন্য ১৪ টি সোলার চার্জিং স্টেশন নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তন্মধ্যে ১২ টি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ১৫ টি উপজেলা সদরের প্রত্যেকটিতে ৩০ কিঃওঃ পিক ক্ষমতাসম্পন্ন সোলার চার্জিং প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে। ৪০ টি সোলার সেচ পাম্প স্থাপন করা হয়েছে এবং আরও ২০০০ টি সোলার সেচ পাম্প স্থাপনের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ২০ টি নেট মিটারিং ও ০৬ টি গ্রীড চার্জিং স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে।

 

দেশের পল্লী অঞ্চলের প্রায় ৯১% এলাকা ইতোমধ্যে বিদ্যুতায়ন করা সম্ভব হয়েছে। অবশিষ্ট অবিদ্যুতায়িত এলাকার জনগণের বিদ্যুতের চাহিদার প্রতি আমরা সম্পূর্ণরূপে সচেতন রয়েছি। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্ভাবনী উদ্যোগ, “শেখ হাসিনার উদ্যোগ-ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ” কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য ডিসেম্বর-২০১৫ থেকে উপজেলা ভিত্তিক শতভাগ এলাকা পর্যায়ক্রমে বিদ্যুতায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ইতোমধ্যে ১৮৬ টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়ন উদ্বোধন করা হয়েছে এবং এছাড়াও আরও ৮১ টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়নের জন্য উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। ২০১৯ সাল নাগাদ যাতে সকল উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা যায় সে জন্য গৃহীত পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এই কার্যক্রমের আওতায় চলতি (২০১৮-২০১৯) অর্থ বছরে ৫০ হাজার কিঃমিঃ লাইন এবং ১৯৮ টি উপকেন্দ্র নির্মাণ করে ১৫৫০ এমভিএ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ৩০ লক্ষ নতুন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হবে। বর্তমানে প্রায় ৪১,৭২৫ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ১৭ টি প্রকল্প চলমান আছে। বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি WB, ADB ইত্যাদির উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এ প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থ সহযোগিতা প্রদান করে আসছে।

 

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এর কর্মকান্ডের মাধ্যমে ২০১৬ সালে দেশের সেরা সরকারী প্রতিষ্ঠান এবং ২০১৮ সালে বিতরণ ব্যবস্থা দ্রুত সম্প্রসারনের জন্য সেরা সংস্থা, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী শতভাগ বাস্তবায়ন ও শ্রেষ্ঠ প্রকল্প পরিচালক হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পুরস্কৃত হয়েছে। সমিতিসমূহের পারফরম্যান্স উন্নয়নের মাধ্যমে পর পর ৪ বছর যাবত কেপিআই বোনাস অর্জন করেছে। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে KPI লক্ষ্যমাত্রার মূল্যায়নে ৯৯% নম্বর অর্জন করে বিদ্যুৎ বিভাগের সকল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্বোচ্চ স্থান অধিকার করেছে। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড সংস্থার কাজের গুণগতমানের উন্নতির স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১৩ সালের ISO ৯০০১:২০০৮ অর্জন করে এবং এর ধারাবাহিক উন্নতির ফলে ২০১৬ সালে IMS (ISO 9001, ISO 14001 & OHSAS 18001) Certificate অর্জন করে। এ অর্জন বাংলাদেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় অনন্য। ইতোমধ্যে ৪৪ টি সমিতি ISO ৯০০১:২০১৫ অর্জন করেছে এবং আরও ৩৬ টি সমিতিতে ISO ৯০০১:২০১৫ সনদ অর্জনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে ৫৫ হাজার কিঃমিঃ লাইন নির্মাণ এবং ১২৭ টি উপকেন্দ্র নির্মাণ এবং ২০০০ এমভিএ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে প্রায় ২০ লক্ষ নতুন সংযোগ প্রদানের পরিকল্পনা রয়েছে।

 

‘উন্নয়নের অভিযাত্রায় অদম্য বাংলাদেশ’ – এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গত ৪-৬ অক্টোবর, ২০১৮ খ্রিঃ তারিখে অনুষ্ঠিত ৪র্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলায় বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও ৮০ টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ৪২১ টি জেলা/উপজেলায় স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে এবং ১৭৩ টি ১ম পুরস্কার, ৯০ টি ২য় পুরস্কার, ৫১ টি ৩য় পুরস্কারসহ সর্বমোট ৩১৪ টি পুরস্কার লাভ করে।

 

জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সকল শ্রেণীর গ্রাহকের বক্তব্য শ্রবণ করে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। গ্রামীণ জনগনের মুখে হাসি ফুটানোর জন্যই এ কার্যক্রমের সূচনা করা হয়েছিল। সে হাসি যেন ম্লান না হয় সেদিকে আমাদের সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যক্রম পরিচালনার সকল ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সততা ও উত্তম গ্রাহকসেবা বজায় রাখতে হবে।

 

আমি অবহিত হয়েছি যে, “চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২” বিগত ১৪ই ডিসেম্বর ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ বিতরণ শুরু করেছে। এ সমিতিতে ডিসেম্বর-২০১৮ খ্রিঃ পযন্ত ৫০১৯ কিঃমিঃ লাইন নির্মাণ করে মোট ৩,৩৮,৪৩২ জন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। বিগত বছর সমূহে খুচরা বিক্রয় মুল্যের তুলনায় পাইকারী বিক্রয় মুল্যের হার অধিকতর হওয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালনায় আর্থিক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ সমস্যা উত্তরণের জন্য বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের তরফ থেকে সর্বাত্মক প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে। সিষ্টেম লস কমিয়ে ও বিদ্যুতের চুরি/অপচয় রোধ করে পরিচালন ব্যয়ের ঘাটতি মোকাবিলার লক্ষ্যে সমিতির কর্মকর্তা/কর্মচারী/বোর্ড পরিচালক/গ্রাহক সদস্যবৃন্দকেও সম্মিলিত প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে। চলতি ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে ৫৩৮ কিঃমিঃ লাইন নির্মাণ এবং ১ টি নতুন উপকেন্দ্র নির্মাণ করে ২৫ এমভিএ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ৩৮,৪২৬ জন নতুন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে।

 

আজকে সমিতির সর্বস্তরের গ্রাহক সদস্যদের উন্নত সেবা প্রদান, গ্রাহকদের সমস্যার সমাধান এবং অধিক সংখ্যক গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করার চেতনায় সকলের সমন্বিত দৃপ্ত অঙ্গীকার ঘোষিত হবে- এ কামনা করছি। গ্রাহক সদস্যগণকে আহ্বান জানাচ্ছি যেন সমিতির উত্তরোত্তর উন্নয়নে স্ব স্ব ক্ষেত্র থেকে তাঁরা সকল সময়ে সহযোগিতার হাত প্রসারিত রাখেন।

 

আমি চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করছি এবং সমিতির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধির জন্য মহান আল্লাহ্‌ তায়ালার রহমত কামনা করছি।

 

মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন
চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড